কসবা আখাউড়া জননন্দিত নেতা আলহাজ্ব কবির আহম্মেদ ভূঁইয়া উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ করেন।
মেয়ে জামাইয়ের সঙ্গে ঝগড়া, শাশুড়ির মৃত্যু
ধর্মপাশায় জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য প্রকল্পের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত।
লোহাগাড়ায় ইউনিয়ন পর্যায়ের স্বাস্থ্য কেন্দ্র আছে কর্মচারী নেই দরজায় তালা
হোমনা-তিতাসে বিএনপির ৩১ দফা প্রচার শুরু করলেন অ্যাড. আজিজুর রহমান মোল্লা!
কুমিল্লা উত্তর জেলায় যুব দলের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করা হয়।
কুমিল্লা উত্তর জেলায় যুব দলের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করা হয়।
স্বৈরাচারি শাসন ব্যবস্থা চালু করেছিল আওয়ামীলীগ তাই তারা টিকতে পারে নাই -পলাশে ড.আব্দুল মঈন খাঁন
স্বৈরাচারি শাসন ব্যবস্থা চালু করেছিল আওয়ামীলীগ তাই তারা টিকতে পারে নাই -পলাশে ড.আব্দুল মঈন খাঁন
৫দফা দাবীতে নীলফামারী জেলা জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত,,

দলিল-খতিয়ান ছাড়াই জমির মালিকানা! এই ৩ প্রমাণই যথেষ্ট!
আজাদ নিউজ ২৪ অনলাইন ডেস্ক;
বাংলাদেশে জমির মালিকানা নিয়ে দলিল-খতিয়ান হারানো বা জটিলতা নতুন কিছু নয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে—মাত্র তিনটি শক্ত প্রমাণ থাকলেই আদালত ও সরকারি রেকর্ডে জমির মালিকানা নিশ্চিত করা সম্ভব।
১. সাবকবলা বা বিক্রয়-কবলা দলিল (নামজারি সঠিকভাবে সম্পন্ন হলে):
যদি বিক্রয়কবলা দলিলটি যথাযথভাবে রেজিস্ট্রি করা হয় এবং ক্রেতা-বিক্রেতার তথ্য, দাগ-খতিয়ান, চৌহদ্দি, সাক্ষী ও তারিখ ঠিকভাবে উল্লেখ থাকে—তবে এটি জমির স্থায়ী মালিকানা প্রমাণের সবচেয়ে শক্ত ভিত্তি হিসেবে গণ্য হয়।
২. খাজনা প্রদানের দাখিলা বা রসিদ:
দলিল বা খতিয়ান হারালেও যদি নিয়মিতভাবে জমির খাজনা পরিশোধ করা হয় ও দখল অব্যাহত থাকে, তবে খাজনার দাখিলা আইনি মালিকানা প্রমাণে কার্যকর ভূমিকা রাখে। বর্তমানে ডিজিটাল রেকর্ডের মাধ্যমে এই রসিদের ভিত্তিতে নামজারি করাও সম্ভব।
৩. দীর্ঘমেয়াদি (১২ বছর বা তার বেশি) দখল ও আদালতের ডিক্রি:
যদি কেউ কোনো জমি ১২ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে নিরবিচ্ছিন্নভাবে দখলে রাখেন এবং প্রকৃত মালিক বিরোধ না করেন, তবে আদালতে মামলা করে ডিক্রি নিলে সেটি আইনি মালিকানার স্বীকৃতি হিসেবে গণ্য হয়। তবে শুধু মৌখিক দাবি নয়, আদালতের রায় (ডিক্রি) থাকা বাধ্যতামূলক।
আইনি বাস্তবতা ও সতর্কবার্তা:
দলিল বা খতিয়ান থাকলে মালিকানা প্রমাণ সহজ হয়, তবে উপরোক্ত তিনটি প্রমাণের যেকোনোটি থাকলেও আদালত মালিকানা স্বীকার করতে পারে।
তবে ভুল চৌহদ্দি, ভুল দাগ বা সাক্ষীর তথ্য না থাকলে দলিল বাতিল হওয়ার আশঙ্কা থাকে। উত্তরাধিকার সূত্রের ক্ষেত্রে সঠিক রেফারেন্স থাকা অপরিহার্য।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ:
দলিল বা বিক্রয়কবলা সঠিকভাবে রেজিস্ট্রি করে রাখুন।
খাজনা প্রদানের রসিদ সংরক্ষণ করুন ও ডিজিটাল রেকর্ডে নামজারি করান।
দীর্ঘমেয়াদি দখল থাকলে আদালতের ডিক্রি সংগ্রহ করুন।
প্রয়োজনে অভিজ্ঞ ভূমি আইনজীবীর পরামর্শ নিন।
উপসংহার:
দলিল-খতিয়ান না থাকলেও ভয় নেই—সাবকবলা দলিল, খাজনা রসিদ ও আদালতের ডিক্রি—এই তিনটি প্রমাণ জমির মালিকানা প্রতিষ্ঠায় যথেষ্ট।
নিজের জমি নিরাপদ রাখতে এখনই নথি যাচাই করুন ও প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নিন—তাহলেই ভবিষ্যতের জটিলতা থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব।
মন্তব্য করুন